খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
রামু উপজেলার পশ্চিম চাকামারকুল এলাকায় বাঁকখালী ভাঙ্গণ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে সরজমিনে এ ভাঙ্গণ পরিদর্শন করা হয়।

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাবিবুর রহমান, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল সামশুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, এন আলম ফিলিং ষ্টেশনের মালিক নুরুল আলম, আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, ইউপি সদস্য ছৈয়দ নূর, ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমদ প্রমূখ।

পরিদর্শনকালে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, ভাঙ্গণ ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যদি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে মহাসড়কসহ মসজিদ, কবরস্থান, শতাধিক বসত বাড়ী ও প্রচুর পরিমান কৃষি জমি আগামী যে কোন বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিচ্ছিন্ন হবে সারাদেশের সাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ। আমি প্রশাসন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। যার কারণে প্রসাশনিক কর্মকর্তারা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাবিবুর রহমান জানান, জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গণ রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রামু পশ্চিম চাকমারকুল স্থানে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কক্সবাজার-চট্ট্রগাম মহাসড়ক । মহাসড়কের ৫০ ফুটের ভিতরেই এ বাঁকখালীর ভাঙন। তীর এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই, তাছাড়া আগামীতে বন্যায় সারা দেশের সাথে পর্যটন শহর কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

রামু পশ্চিম চাকমারকুলের বাসিন্দা সমাজ সেবক জালাল আহমদ নিজস্ব অর্থায়নে চার হাজার বালির বস্তার ঠেস দিয়েও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না। তিনি জানান, গত পরপর দু’বারে বন্যায় বাঁকখালীর তীর রক্ষা সিসি ব্লক তলিয়ে ৩০০ ফুট পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। আগামী বন্যায় ভাঙনে কক্সবাজারের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়বে কক্সবাজার ও রামুসহ জেলার লাখ লাখ মানুষ।